আমাদের আজকের এই পোস্ট বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা কমিশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নতুন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার পূর্বে কিভাবে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে জানা জরুরী। Bkash agent profit বিবেচনায়, বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা এখন খুবই ভাল একটি খুদ্র লাভজনক ব্যবসা। দেশে অনেকে যুবক এখন বিকাশ ব্যবসা করে ভল টাকা টাকা আয় করছেন।
এখনও অনেকেই জানেন না বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে এবং নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম কি?
আবার অনেকেই জানতে চান পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা করা যায় কি? বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে প্রতি হাজারে কত টাকা কমিশন পাওয়া যায়?
বিকাশ এজেন্ট সিম কি ভিন্ন?
এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এই পোস্ট সাজিয়েছি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার বিস্তারিত নিয়ে। এই সম্পর্কে পূর্বে আলাদা ২ টি পোস্টে আলোচনা করেছি ।
একটু সচেতন হলেই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে ভালো টাকা আয় করা যায়। এই পোষ্টে আমারা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা সম্পর্কিত আপনার প্রশ্ন সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করব।
কিভাবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করা যায় করা যায়? বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে দিনে বা প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা ও কমিশন সম্পর্কে বিস্তারিত।
হেডলাইন Off Contents
- 1 বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা । বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা অসুবিধা
- 1.1 Bkash agent commission rate | বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত?
- 1.2 Bkash agent profit – বিকাশ এজেন্ট কমিশন বা লাভ হাজারে কত টাকা
- 1.3 USSD Code *247# ডায়াল করে বিকাশ এজেন্ট কমিশন
- 1.4 Bkash agent commission rate | বিকাশ এজেন্ট কমিশন অ্যাপ থেকে ক্যাশইন করলে
- 1.5 বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- 1.6 বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কতে বা বিকাশ এজেন্ট হতে কি লাগে?
- 1.7 ট্রেড লাইসেন্স কি , ট্রেড লাইসেন্স করতে কি প্রয়োজন ?
- 1.8 স্থান নির্ধারণ – বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কোথায় দিবেন ?
- 1.9 বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে ?
- 1.10 বিকাশ এজেন্ট থেকে দিনে বা মাসে কত টাকা আয় করা যাবে ?
- 1.11 বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ এবং পাশাপাশি অন্য ব্যবসা
- 1.12 বিকাশ এজেন্টের সুবিধা বা বিকাশ এজেন্ট হলে লাভ কি
- 1.13 বিকাশ ব্যবসা করার জন্য সাবধানতা অথবা বিকাশ ব্যবসার নিয়ম
- 2 বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
- 2.1 পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা
- 2.2 বিকাশ এজেন্ট কমিশন বা বিকাশ ব্যবসায় লাভ সম্পর্কে কিছু কথা
- 2.3 বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- 2.4 বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হ্যাকিং ও প্রতারক চক্র
- 2.5 বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম কানুন বিস্তারিত
- 2.6 বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম? বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম?
- 2.7 বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত?
- 2.8 বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?
- 2.9 বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম?
- 2.10 Share this:
- 2.11 Like this:
বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা । বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা অসুবিধা
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিকাশ এখন দেশের সেরা। তাই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে এখন অনেকেই আগ্রহী।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ হচ্ছে আপনি এই ব্যবসায় মূলত কমিশন পাবেন। আপনার সেলস বা লেনদেন যত বেশি হবে আপনি বিকাশ এজেন্ট কমিশন থেকে তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি এক লক্ষ্য টাকা দিয়ে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করতে পারেন।
পোষ্টের শুরুতেই আপনাদের জানবো বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা। এছাড়াও এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলতে আপনার কি কি কাজ পত্র প্রয়োজন। আপনি একটি বিকাশ এজেন্ট ২ টি উপায়ে খুলতে পারবেন।
Bkash agent commission rate | বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত?
বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট লাভ বা কমিশন ২ ভাগে বিভক্ত। ম্যানুয়ালি USSD Code *247# ডায়াল করে বিকাশ করলে আপনি এক ধরনের কমিশন। আবার বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যাবহারে পাবেন একটু বাড়তি কমিশন।
তাই আপনি বলতে পারেন bkash agent commission rate নির্ভর করে আপনি কিবাভে বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা সেন্ড করছেন।
বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন আপনার প্রশ্ন যদি এমন হয় তবে বিকাশ এজেন্ট কমিশন ( bkash agent commission rate ) লিস্ট লক্ষ করুন।
- Bkash agent commission rate from USSD code 4.10 Tk.
- Bkash agent commission rate from Bkash Ajent app 4.30 Tk.
পদ্দতি | কমিশন প্রতি হজারে | বাড়তি কমিশন |
USSD Code *247# | ৪.১০ টাকা | – |
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ | ৪.৩০ টাকা | ০.২০ টাকা |
৯০% ট্রানজেকশন অ্যাপ থেকে | বাড়তি ০.২০ টাকা | মোট ৪.৫০ টাকা |
Bkash agent profit – বিকাশ এজেন্ট কমিশন বা লাভ হাজারে কত টাকা
বন্ধুরা বিকাশ এজেন্ট কমিশন নির্ভর করে আপনার স্থান নির্ধারণের উপর। আপনি যে স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান ওই স্থানে আপনার বিকাশে কি পরিমান সেল হবে তার উপর।
ক্যাশ আউট এবং ক্যাশ ইন উভয় প্রকার লেনদেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে মাত্র ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বিকাশ থেকে একজন এজেন্ট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন।
bkash agent profit নির্ভর করছে আপনার স্থান নির্ধারণ এর উপর। আপনার ব্যবসার স্থান নির্ধারণ যত জনসমাগম সম্পূর্ণ হবে আপনারা বিকাশ এজেন্ট কমিশন বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
তবে মনে রাখবেন আপনার ক্যাশ টাকায় ব্যবসা হওয়ায় আপনি জায়গায় ব্যবসা সেফ যায়গায় খোলার চেষ্টা করবেন।
USSD Code *247# ডায়াল করে বিকাশ এজেন্ট কমিশন
বিকাশ এজেন্ট থেকে *247# ডায়াল করলে ক্যাশইন করলে বিকাশ এজেন্ট কমিশন পাবেন প্রতি হাজারে ৪.১০% ( ৪ টাকা ১০ পয়সা) । যদি আপনি ১০,০০০ ( দশ হাজার ) টাকা ক্যাশইন করেন তবে ৪১ টাকা কমিশন পাবেন ।
ইউসডি কোড ডায়াল করে ক্যাশ আউট করলেও আপনি সম-পরিমান টাকা ৪.১০% কমিশন পাবেন ।
যেমন, যদি আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে ৫০০০ টাকা ক্যাশ-আউট করে তবেও আপনি ২০.৫০( ২০ টাকা ৫০ পয়সা ) টাকা কমিশন ।
মোট আপনার একাউন্টে ৫০০০+ ২০.৫০=৫০২০.৫০ টাকা যোগ হবে।
USSD Code *247# | কমিশন |
ক্যাশ ইন ১০০০ টাকা | ৪.১০ টাকা |
ক্যাশ ইন ১০০০০ টাকা হলে | ৪১ টাকা |
Bkash agent commission rate | বিকাশ এজেন্ট কমিশন অ্যাপ থেকে ক্যাশইন করলে
বিকাশ পার্সোনাল গ্রাহকদের জন্য যেমন অ্যাপ আছে। তেমনি তাদের এজেন্টদের জন্য রয়েছে আলাদা বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ। অ্যাপ থেকে ক্যাশইন করলে কমিশন একটু বেশি পাবেন প্রতি হাজারে ৪.৩০% ( ৪ টাকা ৩০ পয়সা) ।
যদি আপনি ১০,০০০ ( দশ হাজার ) টাকা ক্যাশইন করেন তবে ৪৩ টাকা কমিশন পাবেন । অ্যাপ ব্যাবহারে আপনি বাড়তি কিছু কমিশন পাবেন।
তবে, আপনাকে আপনার ক্যাশইন সর্বমোট লেনদেনের ৯০% ক্যাশইন এজেন্ট অ্যাপ থেকে করতে হবে। বিকাশ তাদের এজেন্টদের প্রতি হাজারে ০.২০ পায়সা বাড়তি কমিশন দিয়ে থাকে।
আপনি এজেন্ট অ্যাপ ব্যাবহার করলেও ক্যাশ আউট থেকে প্রতি হাজারে ৪.৩০% কমিশন পাবেন। মোট আপনার একাউন্টে ৫০০০+ ২১.৫০=৫০২১.৫০ টাকা যোগ হবে।
এজেন্ট অ্যাপ থেকে সারা মাসের ক্যাশইন ও ক্যাশ-আউট মিলিয়ে আপনি যদি দশ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন তবে, আপনি বাড়তি ২০০ টাকা কমিশন পাবেন ।
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে | রেগুলার কমিশন | বাড়তি কমিশন | মোট কমিশন |
ক্যাশ ইন ১০০০ টাকা | ৪.৩০ টাকা | ০.২০ টাকা | ৪.৫০ টাকা |
ক্যাশ ইন ১০,০০০ টাকা হলে | ৪৩ টাকা | ২ টাকা | ৪৫ টাকা |
সর্বমোট লেনদেন ১,০০০০০ টাকা | ৪৩০ টাকা | ২০ টাকা | ৪৫০ টাকা |
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে
- আপনার এলাকার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে
নিজস্ব এলাকার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে বিকাশ এজেন্ট খোলা সঠিক ও সহজ। সব কাগজপত্র এবং তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর ব্যবসা করার অনুমতি দেবে প্রতিষ্ঠান।
আপনি চাইলে আপনার আশেপাশের বিকাশ এজেন্ট দোকান গুলিতে খবর নিয়ে বিকাশ SR এর সাথে কথা বলতে পারেন। বিকাশ SR আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম জানিয়ে দিবে।
এছাড়াও আপনি আমাদের সাথে থাকুন জনাতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা জেনে বুজে তবেই আপনি বিকাশ ব্যবসা শুরু করবেন। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা দেখলে হবে না, এই ধরনের নগদ অর্থ ব্যবসায় ( যেমন নগদ/ রকেট/ বিকাশ এজেন্ট) ঝুঁকি রয়েছে।
বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কতে বা বিকাশ এজেন্ট হতে কি লাগে?
- যিনি এজেন্ট হতে চান তার ফটো আইডি।তবে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স যে কোন একটি ব্যাবহার করতে পারেন।
- ট্রেড লাইসেন্স।
- যোগাযোগ নম্বর।
- বিকাশ এজেন্ট সিম, যে সিম কোন ধরণের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলা নাই এমন নম্বর।
ট্রেড লাইসেন্স কি , ট্রেড লাইসেন্স করতে কি প্রয়োজন ?
এককথায় এটি একটি ব্যবসায়ি সনদ ও বলতে পারেন। আপনি যে এলাকায় ব্যবসা করছেন সে এলাকার এউনিয়ন পরিষদ / পৌরসভা / সিটি করপরেশান থেকে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স নিতে আপনাকে হাল-নাগাদ খাজনা দেয়া রসিদ, জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুক্তির কাগজ পত্র সহ উপরোক্ত যে কোন একটি অফিসে যেতে হবে ।
স্থান নির্ধারণ – বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কোথায় দিবেন ?
লোকেশন নির্ধারণ যে কোন ব্যবসা জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি বিকাশ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সঠিক জায়গাটি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তবেই আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা সম্পর্কে ভালো ধারনা পাবেন।
লোক-সমাগম বেশি হয় এমন জায়গায় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু আপনি কি পরিমান টাকা ইনভেস্ট করতে পাবেন তাও লক্ষ রাখতে হবে।
উপরে আমি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাকে ভাল একটি খুদ্র ব্যবসা বলেছিলাম। কিন্তু স্থান ভেদে বিকাশ এখন লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা ।
- হাট-বাজার,
- শিল্প প্রতিস্থানের আসে-পাসে,
- বাস-স্ট্যান্ড,
- শপিং-মল ইত্যাদি জায়গা এ ব্যবসার জন্য আদর্শ স্থান।
- এছাড়া শহরে রাস্তার পাশে বিভিন্ন পয়েন্ট এ এখন বিকাশ ব্যবসা করছেন অনেকেই।
তবে আজকাল বেশির ভাগ মানুষ নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ ব্যবসা করেছে।এটা টাকা থাকে ক্যাশ টাকা বাড়ানোর আরও একটি সহজ উপায় ।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে ?
এই প্রশ্নে আপনাকে বলতে পারি যে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে বেশি টাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আগেই বলেছি স্থান ভেদে বিকাশ এখন লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা যেমন রয়েছে তেমনি অসুবিধাও রয়েছে, স্থান ভেদে আপনাকে অনেক টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পরতে পারে।
প্রথম দিকে আপনি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যায়। বিকাশ এজেন্ট এ টাকা লেনদেন কোন লিমিট নেই। আপনি যত বেশি টাকা লেনদেন করবেন আপনার লাভ তত বেশি ।
বিকাশ এজেন্ট থেকে দিনে বা মাসে কত টাকা আয় করা যাবে ?
৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে যদি দিনে গড়ে ৮০ হাজার টাকা লেনদেন হয়, এই হিসেব অনুযায়ী দৈনিক ৩২৮৳ আয় করতে পারবেন।
So, আপনি
- দিনে ৩০*৩২৮=৯৮৪০ টাকা পাচ্ছেন,
- তবে,
- বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে এই পরিমান ট্রানজেকশন থেকে ১০৮০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
আপনি আরও বেশি টাকা আয় করতে ছাইলে আপনার বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে ।
আমি এক এজেন্ট কে প্রশ্ন করে জানতে পারি ১ লক্ষ টাকায় মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব হবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়।
After that, এই কথা বলা যায় আপনার এজেন্ট পয়েন্টটি বেশি জনবহুল এলাকায় হলে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি বিকাশ এজেন্ট কমিশন বেশি পেতে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য সঠিক নির্বাচন করুন।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ এবং পাশাপাশি অন্য ব্যবসা
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত রয়েছে।
এখন আপনি বিকাশ ব্যবসা করার পাশাপাশি আপনি করতে পারেন মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা। এছাড়া দোকানে রাখতে পারেন মোবাইল এক্সেসরিজ ফোন, সিমকার্ড, চার্জার, ব্যাটারি, হেডফোনসহ মোবাইল ফোনের সরঞ্জাম।
ঠিক ঠাক মত ব্যবসা করতে পারলে দিনে গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। মাস শেষে যা দাঁড়ায় প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা।
দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দাতা
- ডাক-বিভাগের নগদ ,
- ইউসিবির ইউক্যাশ,
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং,
- গ্রামীণফোনের মোবিক্যাশ ইত্যাদি।
- আরও বেশি আয় করতে আরও মোবাইল ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক এ নিজেকে যুক্ত করুন ।
বিকাশ এজেন্টের সুবিধা বা বিকাশ এজেন্ট হলে লাভ কি
যে কোনো ব্যবসার পাশাপাশি আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে পারেন । আশেপাশে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন কিভাবে বিকাশ ব্যবসা চলছে অন্য ব্যবসার সাথে ।
- বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থাকলে আপনি কোন লিমিট ছাড়া লেনদেন করতে পারবেন।
- আপনার বিকাশ এজেন্টে আউট হলেও আপনি কমিশন পাচ্ছেন।
- প্রয়োজন অনুজায়ি আপনি টাকা বিকাশ DSO থেকে নগদ ক্যাশ নিতে পারেন।
আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ করতে আরও কিছু পদ্দতি রয়েছে। একজন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট থেকে প্রতিটি সফল পার্সোনাল একাউন্ট খোলে ইনস্ট্যান্ট ২০ টাকা কমিশন পাবেন।
এছার বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট সচল হলে আপনি আরও কিছু কমিশন পাবেন। এখন অনেক বিকাশ এজেন্ট পার্সোনাল একাউন্ট চালু করে বেশ কিছু কমিশন পেয়ে থাকে।
আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ খুজলে পার্সোনাল একাউন্ট চালু করে কমিশন এটা একটা বাড়তি সুবিধা।
বিকাশ ব্যবসা করার জন্য সাবধানতা অথবা বিকাশ ব্যবসার নিয়ম
এজেন্টদের সব সময় ব্যালেন্স চেক করে লেনদেন করতে হবে। নিয়ম রয়েছে এক ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট করতে পারবে না এবং একসঙ্গে ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবে না।
লেনদেনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, নম্বর ভুল হচ্ছে কি না। ভুলে কোন বেক্তিগত নম্বরে টাকা চলে গেলে তা আপনি ঐ গ্রাহক টাকা না দিলে আপনার কিছুই করার থাকবে না ।
কিন্তু, ভুলে বিকাশ এজেন্ট নম্বরে টাকা গেলে আপনি আপনার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে জনালে তারা আপনার টাকা ফিরত আনার চেষ্টা করতে পারে।
জিপি কলরেট অফার
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
বন্ধুরা বিকাশ এজেন্ট হতে কোন ধরনের টাকা লাগেনা। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা ফ্রি, কোন টাকা দরকার হয়না দরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
বিকাশ কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে বা উদ্দেশ্যের প্রতি মাসেই নতুন এজেন্ট দিয়ে থাকে, ব্যবসা করার মত টাকা থাকলে আপনি ফ্রিতে একটি বিকাশ এজেন্ট খুলে ব্যবসা করতে পারেন, শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে।
পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা
পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা করা কখনই উচিত নয়।
বিকাশ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা করা সম্পূর্ণ অবৈধ।
কোন কারনে বিকাশ কর্তৃপক্ষ বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানতে পারলে আপনার আর্থিক ক্ষতি হতে পারে তাই এই কাজটি করা থেকে বিরত থাকুন।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন বা বিকাশ ব্যবসায় লাভ সম্পর্কে কিছু কথা
সময় কারো জন্য বসে থাকে না আপনার কাছে যদি ছোট্ট একটা ব্যবসা থেকে থাকে ঐ ব্যবসায়ী যদি আপনি মনে করছেন যে আপনার সফলকাম হওয়ার সম্ভাবনা নেই ব্যবসা ছেড়ে দিবেন।
এমন চিন্তা মাথা থেকে মুছে ফেলে ঐ ব্যবসাকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনার কিছু উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরী।
এই উদ্যোগের মধ্যে একটি অন্যতম হচ্ছে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা।
কেননা আপনার টাকা ব্যবহার করে দৈনিক কিছু মুনাফা আপনি অর্জন করতে পারবেন।
এখন বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে রয়েছে যাদের দৈনিক ইনকাম ২০০০ টাকার উপরে। তাই নিরাশ না হয়ে ধৈর্য ধরে ব্যবসা করুন আপনি সফলকাম হতে পারবেন বলে আমি মনে করি।
বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বন্ধুরা বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম অনেক সিমপ্ল।
আপনি যে পরিমান টাকা বিকাশ এজেন্টকে দিবেন ঠিক সেই পরিমান টাকা বিকাশ এজেন্ট আপনার প্রদান করা নম্বরে ক্যাশ ইন করবে।
এইখেত্রে এজেন্ট আপনার কাছ থেকে বাড়তি কোন চার্জ নিবে না।
এখন আপনি ভাবতে পারেন (বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা) এজেন্ট কিভাবে লাভ করে, বিকাশ কোম্পানি এজেন্টকে প্রতি হাজারে ৪ টাকা ১০ পয়সা কমিশন প্রতিটি সফল লেনদেনর সাথে সাথে এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে থাকে।
ধরুন আপনি আপনার কোন আপন জনকে ৫০০০ টাকা দিতে চাচ্ছেন। দুকানে গেলে দোকানদার আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি খরচ সহ সেন্ড করবেন।
এর কারণ হচ্ছে আপনি খরচ দিলে ( ৫০০০ টাকা বিকাশ থেকে ক্যাশ আউট *২৪৭# ডায়াল করে করলে ১৮.৫০*৫=৯২.৫০ টাকা ) বিকাশ এজেন্ট আপনার কাছ থেকে ৫১০০ টাকা নিবে এবং আপনার নম্বরে ৫১০০ টাকা ক্যাশ ইন করে দিবে।
সম্প্রতি প্রথম আলো একটি খবর প্রকাশ করেছে বিকাশ এজেন্ট ১.৫ টাকা দেয় না বা দিতে চায় না।
এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল তথ্য। যা বিকাশ গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
তাই কোন এজেন্ট আপনার কাছ থেকে বাড়তি কোন টাকা চার্জ করেনা, আপনি যে পরিমান টাকা তাদের দিবেন তারা সেই পরিমান টাকা আপনার দেয়া নম্বরে ক্যাশ ইন করে দিতে বাধ্য।
কোন এজেন্ট যদি আপনার কাছ থেকে বাড়তি কোন টকা চায় তবে আপনি bkash helpline number সমূহে কল করতে পারেন। তার বিরুদ্দে কমপ্লেন করুন তার এজেন্ট নাম্বার দিন।
বন্ধুরা বিকাশ অফিস তার বিরুদ্দে অ্যাকশান নিবে। কেননা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ অফিসিয়ালি দেয় হয়।
গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন ধরণের বাড়তি চার্জ গ্রাহক দের কাছ থেকে নেয়ার বিধান নেই বিকাশে। কেননা বিকাশ কোম্পানি তাদের বিকাশ এজেন্ট কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হ্যাকিং ও প্রতারক চক্র
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হ্যাকিং হয়েছে এমন এখনও শুনি নাই।কিন্তু, বেক্তিগত নম্বরে একাউন্ট হ্যাকিং খবর শুনা যায়।
তবে, বিকাশ তাদের গ্রাহকদের সর্বদা সতর্ক করে PIN CODE ও VERIFICATION CODE কাউকে না জানানোর জন্য।
- প্রতারক চক্র ফোনে কর্তৃপক্ষের পরিচয়ে টাকা ট্রানজেকশন করতে বলে। এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট PIN CODE প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একবার পরিবর্তন করুন ।
- PIN CODE গ্রাহকের সামনে শো করবেন না।
- আপনার ট্রানজেকশন রেজিস্টার খাতা জত্নে রাখুন।
- প্রতারক চক্র বা কেউ কল করে আপনার এজেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্স জানাবেন না ।
- মোবাইলের পুরনো sms ফরোয়ার্ড করে বর্তমানে জালিয়াতি করা হয়। এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
শেষকথা,
এই পোস্টে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানালাম বিকাশ এজেন্ট কমিশন সম্পর্কে। বিকাশ এজেন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা সুবিধা লাভ কমিশন ও খোলার নিয়ম জানালাম।
এই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা সম্পর্কে আপনার কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করুন।
ভালো লাগলে পোস্ট টি LIKE ,SHERE করতে ভুলবেন না । জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম কানুন বিস্তারিত
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম? বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম?
প্রথমত বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম হচ্ছে আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সে ও আইডি কার্ড, ও ছবি ব্যাবহার করে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত?
এখন বিকাশ এজেন্ট ১০০০ টাকা কোন বিকাশ পার্সোনাল নম্বরে ক্যাশ ইন করতে ৪.১০ টাকা ( ০.৪১%) কমিশন পাবেন। বন্ধুরা আমার কোন গ্রাহক ক্যাশ আউট করলেও আপনি প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা কমিশন পাবেন।
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?
মূলত, বিকাশ এজেন্ট হতে কোন টাকা লাগে না। আপনার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকলে আপনি সহজেই বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন ফ্রি।
বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম?
একজন বিকাশ এজেন্ট ক্যাশ ইন করার মাধ্যমে বিকাশ পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠিয়ে থাকে। বিকাশ এজেন্ট গ্রাহকদের কাছ থেকে ঠিক যে পরিমাণ টাকা নিবেন ঐ পরিমাণ টাকা গ্রাহকের প্রদান করা বিকাশ নম্বরে ক্যাশ ইন করে দিবেন।
বিডি অফার নিউজ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
বিডি অফার নিউজ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন ।
সকল সিমের অফার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.bdoffernews.com সাইট ।
Very important blog
Nice