উত্তরা মেট্রোস্টেশন ঘিরে ‘সিন্ডিকেট’ জুলুম, দেখেও চুপ পুলিশ!

উত্তরার মেট্রোরেল স্টেশনের আশেপাশে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশার ‘সিন্ডিকেট’ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছে যাত্রী পরিবহন। যাত্রীরা যেন এদের হাতে বন্দি! বাইরের কোনো রিকশা এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে না, মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে নেওয়া, চালকদের হুমকি-ধমকি, এমনকি মারধরের মতো ঘটনাও ঘটছে। ভয়ংকর ব্যাপার হলো—সবই ঘটছে পুলিশের চোখের সামনেই, অথচ কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

দখলদার চালকেরা কোথা থেকে এল?
সাভার, আশুলিয়া, বিরুলিয়া, খাগান, আক্রান, চারাবাগ—এইসব জায়গা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মেট্রোরেল ব্যবহার করে ঢাকায় আসেন। আর এই যাতায়াতের বড় ভরসা এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা। কিন্তু এই বাহনটিই এখন যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Teletalk Bondho SIM Offer

যাত্রী নামিয়ে নিয়ে নিজের রিকশায় উঠায় ‘সিন্ডিকেট’
রোববার বিরুলিয়ার আক্রান মোড় থেকে একজন যাত্রী নিয়ে রওনা দেন রিকশাচালক রমজান আলী। ঢাকা বোর্ড ক্লাব পার হয়ে যখন পঞ্চবটিতে পৌঁছান, তখনই ৪-৫ জন রিকশাচালক তার রিকশার গতি থামিয়ে জোর করে যাত্রী নামিয়ে নেয়। শুধু রমজান না, যেকোনো বাইরের রিকশা এলেই একই কাজ করে এই গোষ্ঠী। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি দেওয়া, চাবি কেড়ে নেওয়া, ক্যাবল ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটে।

সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো—ঘটনার পাশেই থাকে ট্রাফিক পুলিশ বক্স। কিন্তু পুলিশ যেন কিছু দেখেই না।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

সিন্ডিকেটের পেছনে কারা?
রিকশাচালক রিপন জানালেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তারা একজোট হয়ে চলাফেরা করে। কিছু চালক বেশ আগ্রাসী এবং দাপট দেখায়। জানা গেছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ মামলার আসামি। আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক দলের ছায়ায় আছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন জেলা থেকে পালিয়ে এসে এখানে রিকশা চালান।

আরও পড়ুনঃ ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ভয়ে মুখ খোলেন না যাত্রীরা
একজন যাত্রী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “ওদের চোখে তাকালেই ভয় লাগে। কিছু বলতে গেলেই ক্ষেপে যায়। মাঝপথে নামিয়ে দেয়, বারবার রিকশা বদলাতে হয়। এতে শুধু টাকা বেশি খরচ হয় না, সময়ও নষ্ট হয়।”

গলাকাটা ভাড়া, কিন্তু কোনো সম্মান নেই!
ভুক্তভোগীরা বলেন, আক্রান মোড় থেকে উত্তরা সেন্টার স্টেশন পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পথ আগে এক রিকশাতেই যাওয়া যেত। এখন সিন্ডিকেট বাধা দিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেয় পঞ্চবটিতে। মাত্র ২ কিলোমিটারের জন্য জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া নেয়, তাও ৬ জন যাত্রী গাদাগাদি করে বসায়।

আলি আহম্মেদ নামে একজন বলেন, “সময় বাঁচানোর জন্য আমরা এই রাস্তায় যাই। কিন্তু মাঝপথে নামিয়ে আবার ওদের রিকশায় উঠতে বাধ্য করা হয়। টাকা দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু যেটুকু সম্মান পাওয়া উচিত, সেটুকুও পাই না।”

রিকশাচালকদের স্পষ্ট বার্তা: “এই এলাকা আমাদের”
উত্তরা মেট্রোস্টেশনের নিচে সারি সারি ব্যাটারি রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। এরা বাইরের কোনো চালককে যাত্রী নিতে দেয় না। আফজাল নামের এক চালক বলেন, “এইটা আমাদের এরিয়া। অন্য এলাকার চালক আসবে কেন? এলেই আমরা বাধা দেব।”

প্রশাসনের অবস্থান?
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ডিসি আনোয়ার সাঈদ বলেন, “আমাদের তো কাছেই পঞ্চবটি ট্রাফিক বক্স আছে। কেউ তো আমাকে এসব বলেনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।”

এখন শুধু উত্তরা নয়, সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে!
তদন্ত করে দেখা গেছে, শুধু উত্তরাই নয়—বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের সামনের সড়কগুলোও ধীরে ধীরে ব্যাটারিচালিত রিকশার ‘অঘোষিত স্ট্যান্ডে’ পরিণত হচ্ছে। অথচ যাত্রীদের সুবিধার জন্য তৈরি হওয়া এই পরিবহন ব্যবস্থাই এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
বিডি অফার নিউজ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
বিডি অফার নিউজ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন
সকল সিমের অফার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.bdoffernews.com সাইট ।

Leave a Comment