বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম | বিকাশ এজেন্ট ফি, কমিশন

বাংলাদেশের এক নম্বর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। আপনি যদি বিকাশের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট কিভাবে নিতে হয় এ সম্পর্কে জানতে হবে। যে কোন ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি।

আপনারা যারা বিকাশের ব্যবসায়িক পার্টনার বা বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম জানতে চান তাদেরকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। গত কয়েক বছর ধরে বিকাশের সাথে ব্যবসা করায় আমরা আপনাদেরকে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সহ বিকাশ এজেন্টের কমিশন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পারব বলে মনে করি।

তাই বিকাশ এজেন্ট হবার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পাবেন এখানে।

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন
বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করা অনেক সহজ, তবে একজন বিকাশ এজেন্ট সবার প্রথম শর্ত হচ্ছে আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে। তাই আপনি যদি এখনো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু না করে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করুন বিকাশ এজেন্ট পেতে আপনার সমস্যা হবে না।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

তবে বিকাশ এজেন্ট আবেদন করার পূর্বে আপনার কাছে পর্যাপ্ত কাগজপত্র থাকতে হবে। বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন করার জন্য আপনার কাছে যে কাগজপত্র গুলি থাকতে হবে সেগুলি হচ্ছে-

ট্রেড লাইসেন্সঃ ট্রেড লাইসেন্স হচ্ছে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন। ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করার জন্য আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ/ উপজেলা অফিস/ সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা অফিসে ভিজিট করতে পারেন।

টিন সার্টিফিকেটঃ আপনি যে নামে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন, ওই নামে একটি টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে। টিন সার্টিফিকেট হচ্ছে ভ্যাট নিবন্ধন পত্র, বিকাশ ব্যবসা পরিচালনার জন্য অবশ্যই আপনার এই ব্যাট নিবন্ধন নম্বরটি তৈরি করতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্রঃ যে নামে আপনি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করেছেন, সেই নামের জাতীয় পরিচয়পত্রের দুই কপি ফটোকপি প্রয়োজন হবে।

দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবিঃ যে নামে আপনি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করেছেন এবং যেই ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে আপনি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন সেই ব্যক্তির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।

একটি সুন্দর নম্বরঃ সেই সাথে যে নম্বরে আপনি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন সে নম্বরটি দিতে হবে। অবশ্যই সেই নম্বরে ইতি করবে কোন বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকলে তা প্রযোজ্য হবে না।

একটি কন্টাক্ট নাম্বারঃ যে নম্বরে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং আপনাকে সবসময় পাওয়া যাবে এমন একটি যোগাযোগ নাম্বার দিতে হবে আপনাকে।

ইমেইল ঠিকানাঃ বিকাশ কর্তৃপক্ষ নতুন এজেন্ট দেয়ার সময় একটি ইমেইল নাম্বারও চেয়ে থাকে বিকাশে রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরম পূরণ করার সময়।

বিকাশ এজেন্ট কিভাবে নিতে হয়? – বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিকাশ এজেন্ট কিভাবে নিতে হয়।

বিকাশ এজেন্ট নিতে হলে প্রথমেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো একসাথে করতে হবে, তারপর আপনার এলাকার বিকাশ সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ অথবা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে ভিজিট করে আপনার কাগজপত্র গুলো জমা দিন।

অফিশিয়ালি বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনাকে কল করে জানাবে আপনার বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা। তবে যদি কোন কারণে আপনি আপনার এলাকার বিকাশ প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন তাহলে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে তাদের ঠিকানা নিতে পারেন।

এছাড়াও অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন করার জন্য সরাসরি বিকাশের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

আরো পড়ুনঃ

জিপি বান্ডেল অফার ইন্টারনেট ও মিনিট

জিপি এসএমএস প্যাক কোড লিস্ট

বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় নিয়ে স্ট্যাটাস

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদনের আগে অবশ্যই করণীয়

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রতিটি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে কিছু বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে বিকাশ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।

অনেকেই প্রথমবার বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার আগে যে ভুলগুলো করে থাকেন সেগুলো ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি। তাই এখন আমরা আপনাদের সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

ট্রেড লাইসেন্সে মালিকের নাম

বিকাশ এজেন্ট আবেদন করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের নামের সাথে মিল রেখে ট্রেড লাইসেন্সে দোকান মালিকের নাম ব্যবহার করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্সে নাম ও ভোটার আইডি কার্ডের সাথে নামের মিল না থাকলে আপনার বিকাশ এজেন্ট আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

এছাড়াও টিন সার্টিফিকেট যেই ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে করবেন ট্রেড লাইসেন্স সঠিক একই ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে করতে হবে।

বিকাশ এজেন্ট লোকেশন

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে লোকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে নিশ্চয়ই বিষয়টি আপনি জানেন। যদি আপনি নতুন করে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে একটি ভাল লোকেশান নির্বাচন করুন।

বিকাশ এজেন্ট লোকেশন যত বেশি ভালো হবে আপনার টাকা আয়ের সম্ভাবনা ততো বেশি হবে, কেননা আপনি যত বেশি ট্রানজেকশন করবেন আপনার কমিশন ততো বেশি হবে। তাই বিকাশ ব্যবসায় হিসেবে বেশি টাকা মুনাফার জন্য বিকাশ এজেন্ট লোকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

উল্লেখ্যঃ যে জায়গাগুলোতে বিকাশের সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভ নিয়মিত ভিজিট করে না, ঐ স্থানগুলোতে বিকাশ কর্তৃপক্ষ নতুন এজেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা যাচাই বাছাই করে। তাই প্রথমে যাচাই করে নিন আপনার এলাকায় কোন স্থান পর্যন্ত বিকাশ সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভরা নিয়মিত আসে।

বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে

বিকাশ এজেন্ট হতে কোন টাকা লাগে না, অর্থাৎ বিকাশ এজেন্ট হওয়া একদম ফ্রি। তবে আপনাকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো তৈরি করতে অবশ্যই কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

কেননা বিকাশ একটি বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেই এজেন্ট ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিয়ে থাকে। তাই বিকাশ এজেন্স আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে তৈরি করুন।

বিকাশ এজেন্ট হতে কত সময় লাগে

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন পরবর্তী ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে এজেন্ট একাউন্ট চালু হতে। তবে অনেক সময় এর চাইতে বেশি সময়ও লাগতে পারে। এজন্য আপনাকে নিয়মিত বিকাশ প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা

বিকাশ এজেন্টরা হল বিকাশের ব্যবসায়িক অংশীদার। বিকাশ কর্তৃপক্ষ বিকাশ এজেন্টদের শতকরা ০.৪০ টাকা কমিশন দিয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতি এক হাজার টাকা বিক্রিতে বিকাশ এজেন্ট কমিশন ৪ টাকা। বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থেকে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট উভয় ক্ষেত্রেই সমপরিমাণ কমিশন দিয়ে থাকে কোম্পানিটি।

সেই হিসাব অনুসারে আপনি যদি ১০ হাজার টাকার ক্যাশ আউট/ ক্যাশ ইন লেনদেন করেন তাহলে ৪০ টাকা কমিশন পাবেন। অর্থাৎ আপনি যদি দৈনিক ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করেন তাহলে ৪০০ টাকা ইনকাম করবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে এমন অনেক এজেন্ট লোকেশন রয়েছে যেখানে প্রতিদিন 5 লক্ষ টাকার অধিক লেনদেন হয়, তাহলে ভাবতেই পারছেন যে এজেন্ট সিমে প্রতিদিন ৫ লক্ষ টাকা লেনদেন হয় সেই দোকানে কি পরিমান আয় হয়।

আরো পড়ুনঃ

Bkash Agent Apps KYC Download

Bkash App Cash Out Charge

রকেট মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম FAQS

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম?

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম হচ্ছে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড, টি সার্টিফিকেট তৈরির পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর জমা দেয়া।

বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?

উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো তৈরি করলেই বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা যায়। বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ফ্রি, আপনি কোন ধরনের চার্জ ছাড়াই বিকাশ এজেন্ট সিম নিতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত টাকা?

বিকাশ এজেন্ট কমিশন শতকরা ০.৪০%, অর্থাৎ আপনি বিকাশ এজেন্ট সিম থেকে ১০০০ টাকা লেনদেন করলে ৪ টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন।

বিকাশ এজেন্ট চালু হতে কতদিন সময় লাগে?

অফিসিয়ালি যত দ্রুত সম্ভব বিকাশ কর্তৃপক্ষ বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে থাকে। তবে সাধারণত বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন করার পর 15 থেকে 20 দিন সময় লাগে বিকাশ এজেন্ট চালু হতে।

উপসংহার,

আশা করি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ এজেন্ট নিতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে উপর উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো প্রথমে তৈরি করতে হবে।

তারপর বিকাশ এজেন্ট পেতে চাইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর আপনার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে। আশা করি বিকাশ এজেন্ট হতে চাইলে কি কি প্রয়োজন এবং কিভাবে বিকাশ এজেন্ট নিতে হয় এ সম্পর্কে আপনার সকল তথ্য জানা হয়েছে।

যদি বিকাশ এজেন্ট সংক্রান্ত আরো কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান।

সেইসাথে নিত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করুন।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
বিডি অফার নিউজ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
বিডি অফার নিউজ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে সাথে থাকুনঃ এখানে ক্লিক করুন
সকল সিমের অফার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.bdoffernews.com সাইট ।

Leave a Comment